আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ত্রিপুরা, মুম্বাই, লখনউ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু, মেঙ্গালুরু… সর্বত্র চলছে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ। বিক্ষোভ এবং আন্দোলনে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একাধিক ঘটনা ঘটেছে লাঠিচার্জের, পুলিশি তাণ্ডবের, টিয়ার গ্যাস ছোড়ার। এবার সেই প্রতিবাদে প্রাণ হারাতে হলো মেঙ্গালুরুর ২ প্রতিবাদীকে। জানা গেছে, সেখানে পুলিশের গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেঙ্গালুরুতে চার পুলিশকর্মী শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। এতেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠছে।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন থেকে বেঙ্গালুরুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এদিনও সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিই ছিল। সেই প্রতিবাদ ঠেকাতে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন স্থানে জারি রয়েছে কার্ফু। ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতেও ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার পর সীলমপুরের উত্তেজনায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে দিল্লিতে। বিক্ষোভের একই ছবি ধরা পড়েছে লখনউ, মুম্বাই সহ বিভিন্ন জায়গায়। বাংলাতেও গত ৩ দিন ধরে মিছিল করে এনআরসি-সিএএ-র বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদল ছাড়াও কিছু বিরোধী দল ও নানা সামাজিক সংগঠন প্রচারে নেমেছে।
- ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না : ফখরুল
আজও কলকাতায় বিশিষ্টদের নিয়ে মিছিল হয়েছে, পাশাপাশি, তৃণমূলের প্রতিবাদ সভাও হয়েছে। একইসঙ্গে বিজেপি বিরোধিতায় পথে নেমেছে কংগ্রেসও। সবমিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে এই সিএএ আইন নিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল নয়, দেশের অধিকাংশ মানুষই ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে, অন্যান্য রাজ্যেও চরম থেকে চরমতম বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে।