নগরজীবন মানুষকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবােধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেখানে প্রতিবেশীদের নিজেদের মধ্যে কোনাে যােগাযােগ নেই বললেই চলে, যা সামাজিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রতিবেশী কমিউনিটি’কে দুর্বল করে ফেলছে।
প্রতিবেশীদের মধ্যে এ সংযােগকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেই রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘পাড়া উৎসব’। অলাভজনক সংস্থা ‘হিরােজ ফর অল’- এর যৌথ অংশীদারিত্বে গুলশান সােসাইটি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
আজ শুক্রবার গুলশান ২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সমাজের ক্রমবর্ধমান অনাস্থা বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সহায়তায় স্টেট ইউবি ভার্সিটি অব নিউইয়র্কের অনুষদ সদস্য ও হিরােজ ফর অলের প্রতিষ্ঠাতা ড. রেহনুমা করিম, গুলশান সােসাইটির ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিভিক সােসাইটির আহ্বায়ক শায়ান শেরাজ, মেরিল অ্যান্ড ফোর্বস’র প্রতিষ্ঠাতা ও হিরােজ ফর অলের পর্ষদ সদস্য তাজরীন মান্না এ আয়ােজনের অন্যতম আয়ােজক হিসেবে কাজ করেছেন।
নাহিদ হাসান নামে গুলশান সোসাইটির এক সদস্য বলেন, আমরা পাশাপাশি ভবনে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করি, কিন্তু কেউ কাউকে সেভাবে চিনি না। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও কথা হয় না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এ উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
পাড়া উৎসব আয়ােজনে আছে নানা ধরনের প্রতিযােগিতা। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, প্রতিবেশীদের জন্য ওপেন-মাইক সেশন, স্টোরিটেলিং কর্নার, সুস্বাস্থ্য ও ভালাে থাকা নিয়ে তথ্য বিষয়ক স্টল এবং শিল্পকলা ও হস্তশিল্প নিয়ে মিনি-ওয়ার্কশপ। এছাড়া প্রতিবেশীদের সবাইকে নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্তের আবহ তৈরিতে রয়েছে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’।
এ উৎসব আয়ােজনে সহায়তা করেছে গুলশান সােসাইটি, এমটিবি ব্যাংক, গ্রিন ডেলটা ইন্স্যুরেন্স, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ইউরাে ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড, রহিম আফরােজ, এবিসি মিল্ক, অ্যাকুয়া পেইন্ট, ফ্লোওয়াটার, আলিফ গ্রুপ, চালডাল, আমরা ওয়াইফাই, কে-স্পাের্ট এবং টপ অব মাইন্ড।