মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকেই পাকিস্তানের এজেন্ট বলে সন্দেহ আলালের

মত ও পথ প্রতিবেদক

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পাকিস্তানপ্রেমী কি-না, এমন সন্দেহ পোষণ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আলাল বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী পাকিস্তানের এজেন্ট কি না, পাকিস্তান প্রেমী কি-না, আপনার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয় কি-না, এ বিষয়ে আপনি সতর্ক থাকেন। আপনি ভালো থাকেন। আপনি ভালো থাকলে ভালো চিন্তা আসতে পারে।’

universel cardiac hospital

আজ শুক্রবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তানের করা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাকিরা যেখানে থাকবে সেখানে ষড়যন্ত্র করবে। তাহলে তো পাকিস্তানের বড় এজেন্ট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।’

রাজাকারের স্থগিত হওয়া তালিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা কোনো রাজাকারের তালিকা দেইনি। আমরা দিয়েছি ৭২ থেকে ৭৪ পর্যন্ত দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছে সে তালিকা। এটা হলে তো তাহলে আরও বড় ভয়ংকর অপরাধ হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘৭-৮ বছর আগে থেকে আমি বলছি, আপনার পাশে ইনু, মেনন, এইচ টি ইমাম, মতিয়া চৌধুরীরা আছেন। এরা কখন কী করে বসবে, আপনি টেরও পাবেন না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে আবার নতুন করে দেখেন। কারণ তিনি মোস্ট সিনিয়র ক্যাবিনেট মেম্বার।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ দুষ্টদের সংসার নিয়ে চিন্তা করতে করতে দেশটাকে আকামের কারখানায় তৈরি করেছেন। আমরা চাই, দেশটা আকামের কারখানা থেকে ভালো জায়গায় আসুক। তাহলে যে কয়দিনই হোক খালেদা জিয়া জেলে থেকে শান্তি পাবেন। আর আমরা আইনের দিক দিয়ে হোক রাজপথে নেমেই হোক দুদিকেই উৎফুল্ল হতে পারব।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘এখনো যারা মাঠ পর্যায়ে বিএনপি করে, যারা সংসদ সদস্য হয়নি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে অধিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা যে এখনো বিএনপি করে তার জন্য তাদেরকে বীরের খেতাব দেয়া উচিত। বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পরে নেতাকর্মীদের অবহেলা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল, গুলশান কার্যালয়ের সামনে গিয়ে হাত তুললে বেগম খালেদা জিয়া হাত তুলে উত্তর দিতেন। পঞ্চগড় থেকে আসেন আর সেন্টমার্টিন থেকে আসেন সে এক সালামেই তিন মাসের চার্জ হয়ে যেতেন তারা। এখন কেউ উত্তর দেয়? দেয় না। এখন দলের মূল থেকে সরে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনি, রবীন্দ্র সঙ্গীতের ধারায় বক্তব্য দেয়। দত্তের কাছে দোয়া দরুদ পড়লে কি কাজ হয়? হয় না। দত্তের মাথায় হয় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিতে হয়। আর না হয় আত্মরক্ষার জন্য যা করা দরকার তাই করতে হয়। দত্তের সামনে তসবিহ টিপলে তো সেটা খেয়ে ফেলবে। খুব দুঃখজনক অবস্থা আমরা অতিবাহিত করছি। এটা কারো জন্য কাম্য নয়।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে