সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফিরেছিলেন জনসন চার্লস। কিন্তু পথচ্যুত হননি আন্দ্রে ফ্লেচার। তিনি ঠিকই সেঞ্চুরি করলেন। তার অনবদ্য ১০৩ এবং চার্লসের বিস্ফোরক ৯০ রানে খুলনা টাইগার্সকে ২৩৩ রানের বিশাল টার্গেট দিল সিলেট থান্ডার।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সিলেট থান্ডার। ভূমিকাতেই রবি ফ্রাইলিংকের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন আব্দুল মজিদ। পরে জনসন চার্লসকে নিয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন আন্দ্রে ফ্লেচার। একপর্যায়ে দুজনই ক্রিজে সেট হয়ে যান। রীতিমতো চোখ রাঙান তারা। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে খুলনা টাইগার্স বোলারদের কচুকাটা করেন উভয়ই।
পথিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার-চার্লস। এরপর আরো শাসাতে থাকেন তারা। তাতে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা। বোলার সেট করতেই হিমশিম খায় তারা। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান চার্লস। মনে হচ্ছিল সেটা সময়ের ব্যাপার। তবে তাতে বাদ সাধেন শহিদুল ইসলাম।
দুর্দান্ত স্লোয়ার ডেলিভেরিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ৩৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এ ক্যারিবিয়ান। এরপর হুট করে ফ্রাইলিংকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ঝড় তুলে ফিরে যান চার্লস। তবে থেকে যান ফ্লেচার। তার তাণ্ডব চলতেই থাকে। তাকে সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান ফ্লেচার। তবে আচমকা থেমে যান মোসাদ্দেক। রবিউল হকের বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
খানিক পরেই কাঙ্ক্ষিত ৩ অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ফ্লেচার। সেই রেশ না কাটতেই শফিউল ইসলামের শিকার হন নাজমুল হোসেন মিলন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রান করে সিলেট। এবারের আসরে এটি দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ রান। প্রথমটি ২৩৮ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মোসাদ্দেক হোসেনের সিলেট থান্ডার।
- আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সম্পাদক কাদের
- কোনো নাগরিক যেন তার অধিকার বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
এখন পর্যন্ত ৩টি ম্যাচ খেলে সবক’টিতে জিতেছে মুশফিকের খুলনা। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে দলটি। সেখানে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি মোসাদ্দেকের সিলেট। হারের বৃত্ত থেকে বের হতে চায় তারা। এজন্য এ ম্যাচে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে দলটি।
সিলেট থান্ডার একাদশ: আন্দ্রে ফ্লেচার, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), জনসন চার্লস, মোসাদ্দেক হোসেন (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন মিলন, ক্রিসমার সান্তোকি, মনির হোসেন, এবাদত হোসেন, সোহাগ গাজী ও নাভিন উল হক।
খুলনা টাইগার্স একাদশ: সাইফ হাসান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শামসুর রহমান শুভ, রবি ফ্রাইলিংক, মেহেদী হাসান মিরাজ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলাম ও রবিউল হক।