জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের নব্বই ভাগ মানুষের আশা পূরণ করেছেন। দেশের সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
আজ রোববার গুলশানে ইমানুয়েলস মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এরশাদ সংবিধানে যেভাবে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেছেন তা দেশের অসাম্প্রদায়িক শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এরশাদ মসজিদের উন্নয়নে যেমন বরাদ্দ দিয়েছেন, তেমনিভাবে মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতে বরাদ্দ দিয়েছেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, নবম সংসদে সংবিধানের অনেক সংশোধন হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ে কোনো সংশোধনী বা পরিবর্তন আনতে হয়নি।
তিনি বলেন, যারা অন্যায় ও অবিচার করে তারাই ইসলাম ও মুসলমানদের ভয় পায়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর আঘাত আসছে। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করে এরশাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। জাতীয় পার্টি যাতে আগামী নির্বাচনে দেশের দায়িত্ব নিতে পারে এজন্য দেশের ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, ইসলাম ছাড়া হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের ইসলামী মূল্যবোধের সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষগুলো এক হলে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করতে সমর্থ হবে। সব মতভেদ ভুলে ইসলামপন্থী আলেম ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, ওলামা পার্টির মাওলানা সাইখুল হাদিস, ড. আবুল কাইয়ুম আজাহারী, মাওলানা মোহাম্মদ এবিএম মোস্তফা কামাল চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নোমান, নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।