আমি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করেছি : সাঈদ খোকন

মত ও পথ প্রতিবেদক

সাঈদ খোকন
মেয়র সাঈদ খোকন। ফাইল ছবি

গত ৫ বছর ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির দায়িত্ব পালন করছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, কেন আগামীতে নগরবাসী আপনাকে মেয়র নির্বাচিত করবে? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে সফল মনে করি। কারণ, আমি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। ৫২ বাজার ৫৩ গলি খ্যাত ঢাকা শহরের এমন কোনো অলিগলি নেই, যেখানে আমি একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগাতে পারিনি।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে জাতীয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দক্ষিণের নগরপিতা।

universel cardiac hospital

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাকে আবার মনোনয়ন দেবে কি না, এর জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ইনশা-আল্লাহ, আমি আশাবাদী। দল থেকে উভয় মেয়র মনোনয়ন পাব।’

এই সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নিতে যাওয়া ভোটকে স্বাগত জানান সাঈদ খোকন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এ বিষয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘পদত্যাগ করে নির্বাচন করার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেটা আইনে যেভাবে বলা হয়েছে, আইনকে অনুসরণ করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

নিজের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শান্তিনগরের ৪০ বছরের জলাবদ্ধতা তো আমিই নিরসন করলাম। নাজিমদ্দিন রোডে প্রায় ৫০ বছরের জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল, সেটাও সমাধান করেছি। বংশাল, পুরোনো ঢাকার জলাবদ্ধতা আমরা সমাধান করেছি। আবার নতুন কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, নগরবাসী যদি আমাদের ভালোবাসায় সিক্ত করেন, আমাদের কাজগুলো অব্যাহত রাখার সুযোগ দেন, এসব সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো উৎসবমুখর, আনন্দমুখর হয়। এই উৎসব, আনন্দের মধ্য দিয়ে এ শহরের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। এটা আমাদের আশাবাদ।’

‘গত প্রায় পৌনে ৫ বছরে মৌলিক যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো অনেকাংশেই সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। একটা ইতিবাচক পরিবর্তন সূচনা করতে আমি সক্ষম হয়েছি’, যোগ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। তার আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সভা হয় ১৭ মে। এ হিসাবে ডিএনসিসির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হবে একই বছরের ১৬ মে।

ডিএনসিসিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ১৮টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯ এবং ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি।

ডিএসসিসিতে ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ২৫টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৯৯৮টি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে