বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, এই বর্তমান নির্বাচন কমিশন, সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না এবং জনগণের যে রায় সেটা প্রতিফলিত হয় না। তারপরও আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
ফখরুল বলেন, ‘এখানে আরেকটু সমস্যা হয়েছে ইভিএম, তারা বলেছে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে, যেটা সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিযুক্ত।আমরা এটাকে প্রত্যাখ্যান করেছি। বলেছি যে, আমরা মনে করি যে, এটা সঠিক হবে না। এ কারণে আমরা মনে করি, ইভিএমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে না। সেই কারণে আমরা মনে করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
- বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলায় সাত সেনাসহ নিহত ১২২
- পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি
- ‘ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি থাকলে ফিরিয়ে আনা হবে’
তিনি বলেন, আজকে ছাত্রদল নেতারা শপথ নিয়েছে বাংলাদেশের যে গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে। তারা সংগ্রাম করে বাংলাদেশের ছাত্র এবং জনতার ঐক্য গড়ে তুলবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে সুন্দর শান্তিময় পরিবেশ পরিস্থিতি গড়ে উঠবে।
নতুন বছরে সুন্দরের প্রত্যাশা করে তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা সবসময় থাকে যে, সুন্দর বছর দেখতে পাব। আমরা মনে করি, এ বছর জনগণ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।’