চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইমরুল কায়েস আগের দিনই বলেছিলেন, এবারের ঢাকাপর্বে অন্তত একটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্য তাদের। একটি ম্যাচ জিতলে ‘সুপার ফোর’ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
ইমরুলের এই চাওয়া পূরণে বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। ঢাকায় দ্বিতীয়পর্বের প্রথম ম্যাচেই সেই লক্ষ্যপূরণ হয়ে গেল চট্টগ্রামের। আর সেটা হলো ইমরুলেরই ব্যাটে চড়ে। আজ শুক্রবার মিরপুরে ঢাকাকে ৬ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে হারিয়ে শেষ চারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্য। ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (১২ বলে ১৫) আর জুনায়েদ সিদ্দিকীকে (৯ বলে ৮) হারালেও জয় পেতে তেমন কষ্ট হয়নি চট্টগ্রামের।
চ্যাডউইক ওয়ালটন ১৬ বলে খেলেন ২৫ রানের ইনিংস। ১৬ বলে ১৩ করেন রায়ান বার্ল। তবে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর সঙ্গে দলকে জয়ের বন্দর পর্যন্ত নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইমরুল। ৫৩ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।
ঢাকার পক্ষে ১৮ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ। একটি করে উইকেট শিকার মাশরাফি বিন মর্তুজা আর মেহেদি হাসানের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের বোলারদের তোপে একদমই সুবিধা করতে পারেননি তামিম-এনামুল-থিসারা-আফ্রিদিরা। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেও ৯ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি এগুতে পারেনি ঢাকা প্লাটুন।
- আসুন সবাই মিলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ে তুলি : আতিকুল
- সিটি নির্বাচন: প্রার্থীদের ব্যয় নির্ধারণ করল ইসি
ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। ৬৮ রানের মধ্যে ৭ আর ৯৩ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল দলটি। তবে শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৫ বলে ২৩ আর মাশরাফি বিন মর্তুজার ১২ বলে ১৭ রানে ভর করে কোনোমতে ১২৪ পর্যন্ত গেছে স্বাগতিকরা।
ঢাকার ইনিংসে যা একটু প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল আর মুমিনুল হক। কিন্তু তামিমের ২৭ বলে ২১ আর মুমিনুলের ৩৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস দুটি মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না।
চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মুক্তার আলি আর রায়ান বার্ল।