‘নুরের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না’

মত ও পথ প্রতিবেদক

জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। ছবি : সংগৃহিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের গায়ে যারা হাত দিয়েছে, তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

জেএসডির কাউন্সিলে সভাপতির বক্তব্যে আজ শনিবার এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বানিয়েছ। যুদ্ধের সময় তোমাদের বাপেরও জন্ম হয়নি।

গত রোববার ডাকসু ভবনে ভিপির কক্ষে নূর ও তার সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের উপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় হলেও সেটি টিএসসিভিত্তিক সংগঠন নয়।

ওই সংগঠনটির ব্যানারে চালানো হামলায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীকেও অংশ নিতে দেখা গেছে। যদিও ছাত্রলীগ ওই ঘটনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে দায়ী করে নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সংগঠকদের সমালোচনা করে আ স ম রব বলেন, তোমরা ডাকসুর ভিপির গায়ে হাত দিয়েছ। এই ডাকসু স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল, এই ডাকসু বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণ করেছিল, এই ডাকসু বঙ্গবন্ধুকে জাতির স্থপতি আখ্যা দিয়েছিল। সেই ডাকসুর ভিপির গায়ে হাত দিয়েছে। তাদের কারও পিঠের চামড়া থাকবে না।

তার দলের জাতীয় কাউন্সিলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সাবেক ভিপি আ স ম রব। কিন্তু হামলার শিকার হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নুর আসতে পারেননি।

রব বলেন, আজকের এই কাউন্সিলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের আসার কথা ছিল। কিন্তু ছেলেটাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একবার নয়, নয়বার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে।

দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ আর বক্তব্য দেব না। আগামীকাল (রোববার) ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করব। সেখানে বক্তব্য দেব। আপনারা যারা আজ এখানে এসেছেন, তারা আগামীকাল প্রেস ক্লাবের সামনেও থাকবেন। সেখান থেকে শুরু হবে আমাদের সরকার পতনের আন্দোলন।

রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত কাউন্সিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে