ক্যাসিনোকাণ্ড : শেখ মারুফকে দুদকে তলব

ডেস্ক রিপোর্ট

শেখ মারুফকে দুদকে তলব
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগের সাবেক নেতা শেখ মারুফকে তলব করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

শেখ মারুফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের ছোটভাই।

universel cardiac hospital

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ রোববার দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে শেখ মারুফকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২১ অক্টোবর মারুফ ও তার স্ত্রী  সানজিদা রহমানের পাশাপাশি পি-টোয়েন্টিফোর গেইমিং কোম্পানি লিমিটেড ও পি-টোয়েন্টিফোর ল ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।

শেখ মারুফকে দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরই ধারাবা

হিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন।

গ্রেপ্তার হওয়া এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হওয়া, অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপকর্মে সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাংসদ, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের নাম উঠে আসে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের পাশাপাশি তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।

অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে। সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। পাশাপাশি র‌্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন। সেসব তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইতিমধ্যে ১৯টি মামলা করে দুদক দল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে