রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার শান্তি নিকেতন এলাকায় ব্যবসায়ী শাহ মো. তোবারক হোসেন হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে একই সঙ্গে গ্রেপ্তার অপর তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- সোহেল প্রধান, বাবুল প্রধান এবং আলামিন খন্দকার ওরফে রিহান।
দোষ স্বীকারোক্তিকারী আসামিরা হলেন- মো. গোলাম রাব্বী এবং মো. ইমন হোসেন ওরফে হাসান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন তিনজনের দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং অপর দুজনের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে অপর দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, দড়ি ও লুট করে নেওয়া দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
গত ২৫ ডিসেম্বর নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন তোবারক হোসেন (৭০)। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত তোবারক রাজধানীর মহাখালীস্থ মামা প্লাজার মালিক। আর গ্রেপ্তারকৃতরা ওই মার্কেটের কর্মচারী।
মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, তোবারক হোসেন রগচটা স্বভাবের ছিলেন। প্রায়ই গ্রেপ্তারকৃতদের বকাঝকা করতেন। সম্প্রতি তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর তারা বাড্ডার নদ্দায় একটি বাসায় বসে তোবারককে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তোবারক মার্কেট থেকে মাসে পাঁচ লাখ টাকা ভাড়া পেতেন। ওই টাকা তিনি ব্যাংকে না রেখে বাসায় রাখতেন। হত্যার পর তাদের ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আসামি হাসানকে গত সপ্তাহে মার্কেটের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন তোবারক।
হাসানের সঙ্গে তোবারক ও গ্রেপ্তার অন্যদের পূর্বপরিচয় ছিল। তাই হাসানকে সঙ্গে নিয়ে এ হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হাসান তোবারকের বাড়িতে নিচতলাতে থাকতেন।
- সশস্ত্রবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীর নতুন মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস
গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে নামাজের সময় হাসান বাড়ির প্রবেশগেট খুলে দিলে অন্যরা প্রবেশ করেন। তারা চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের ডোরবেল বাজালে তোবারকের সহকারী সাইফুল দরজা খুলে দেন।
এরপর তারা সাইফুলকে বেঁধে তোবারকের মাথা, কপাল, চোয়াল ও হাতে কোপ দেন এবং সাইফুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানই পুলিশকে ফোন দিয়ে তোবারককে হত্যার কথা জানান এবং দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে পালিয়ে যান।