ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত। ঘন কুয়াশার জেরে গতকাল সোমবার দিল্লিগামী ২০টি বিমানকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাতিল করতে হয় ৪টি ফ্লাইট।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্রমতে, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে নামতে শুরু করেছে দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারতের তাপমাত্রা। কনকনে ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় রাজধানী দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত। বিহার ও মধ্যপ্রদেশেও পড়েছে তীব্র ঠাণ্ডা।
সোমবারের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর দিল্লির তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৩ ডিগ্রিতে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিল্লির সফদরজং এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে এটি ছিল ১১.৪ ডিগ্রি নিচে।
জিনিউজ জানায়, ঘন কুয়াশার জেরে সোমবার দিল্লিগামী ২০টি বিমানকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাতিল করতে হয় ৪টি উড়ান। এদিন বেলা ১২টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত ৫৩০ উড়ানে দেরি হয়। কুয়াশার কারণে দিল্লিগামী ৩০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ও ঘটে।
এদিকে দিল্লির থেকেও খারাপ অবস্থা রাজস্থানের। সোমবার জয়পুরের তাপমাত্রা ছিল ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৫৫ বছরের এটি একটি রেকর্ড। ১৯৬৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জয়পুরের তাপমাত্রা নেমেছিল শূন্য ডিগ্রিতে। গত তিন দিন ধরে রাজস্থানের তাপমাত্রা আশংকাজনকভাবে কমছে।
কয়েকদিন ধরেই টানা শৈত্যপ্রবাহ চলছে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায়। সোমবার ফরিদকোটের তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ০.৭ ডিগ্রিতে। অমৃতসরে তাপমাত্রা নেমে গিয়ে দাঁড়ায় ১.২ ডিগ্রিতে। লুধিয়ানা ও পাতিয়ালায় তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.৬ ডিগ্রি ও ৪.৫ ডিগ্রি।