বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজেদের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে মাঝপথে ছন্দ হারিয়েছিল তারা। শেষদিকে ফের স্বরুপে ফিরল বরেন্দ্রভূমির দলটি। এ অংশের ভূমিকাতে রংপুর রেঞ্জার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে তারা। এতে প্লে-অফেরর পথে একধাপ এগিয়ে গেল আন্দ্রে রাসেল বাহিনী। ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে রাজশাহী।
১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সূচনালগ্নেই হোঁচট খায় রংপুর। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শেন ওয়াটশন। ওয়ানডাউনে নেমে নাঈম শেখকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই বিদায় নেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। শোয়েব মালিকের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তিনি। সেই রেশ না কাটতেই এ বোলারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে আসেন ইনফর্ম নাঈম। এতে চাপে পড়ে রংপুর।
এ পরিস্থিতিতে ফজলে মাহমুদকে নিয়ে হাল ধরেন টম অ্যাবল। একসময় দারুণ বন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। দুজনই তাণ্ডব চালাতে থাকেন। তাতে খেলায় ফেরে রংপুর। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই ফের বিপাকে পড়ে দলটি। কামরুল ইসলাম রাব্বির উইকেট হয়ে ফেরেন অ্যাবল। এর আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৯ রান করেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ফজলে। ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রান করে আসেন তিনি। তাকে শিকার বানান নওয়াজ।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রংপুর। ধারাবাহিক বিরতিতে রাব্বির বলে কাটা পড়েন মোহাম্মদ নবী। খানিক বাদে মোহাম্মদ ইরফানের বলির পাঁঠা হয়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী ও রংপুর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তবে কেউই ব্যক্তিগত ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন লিটন দাস। তার পর দ্রুত ফেরেন আফিফ। মোহাম্মদ নবীর বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে মাত্র ১৭ বলে ৩ ছক্কার বিপরীতে ২ চারে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তাইওয়ানের সেনাপ্রধানসহ নিহত ৮
- ক্যান্সার হাসপাতাল পরিচালক মোয়াররফের অবসর সুবিধা স্থগিত
পরে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন শোয়েব মালিক। তবে তাকে খুব বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ইরফান। ২০ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হন তিনি। এরপর রবি বোপরাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব। একপর্যায়ে তাদের জুটি জমে ওঠে বেশ। তাতে এগোতে থাকে রাজশাহী। ক্রিজে সেট হওয়ার পর হাত খুলে মারতে থাকেন শোয়েব। অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে ফিনিশ হন তিনি। ফেরার আগে ৩১ বলে ৪ চারে ৩৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি রিক্রুট।
শোয়েব ফেরার পর রাজশাহীর রানের চাকা বাড়ানোর দায়িত্ব নেন বোপারা। তাকে যথার্থ সমর্থন দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই তোপ দাগাতে শুরু করেন। তাতে হু হু করে বাড়ে দলীয় রান। শেষ ওভারে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হন তারা। তাদের তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান করে বরেন্দ্রভূমির দলটি। ২৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় কাঁটায় ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন বোপারা। ১৫ রানে আনবিটেন থাকেন নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী রয়্যালস: ১৭৯/৪ (২০ ওভার)
বোপার ৫০*, মালিক ৩৭, আফিফ ৩২
মুস্তাফিজ ৪১/২, নবী ২৬/১
রংপুর রেঞ্জার্স: ১৪৯/৭ (২০ ওভার)
ফজলে মাহমুদ ৩৪, অ্যাবেল ২৯, নাঈম ২৭
নওয়াজ ২১/২, মালিক ২৭/২, রাব্বি ৩২/২
ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।