বাংলাদেশের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আপনারা দেখবেন, এখানে একদলীয় শুধু নয়, এক ব্যক্তিও হয়ে যাচ্ছে, একটা পরিবার হয়ে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখেন নমিনেশন কাকে দেয়, কারা আসে, কে কোথায় আসে, আপনার সংগঠনগুলোর প্রধান কারা হয়? তাহলে বোঝা যাবে যে, তারা আজকে পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের স্মরণে নাগরিক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আ.লীগ বাইরে থেকে ঢোল বাজায় উন্নয়ন উন্নয়ন কিন্তু ভেতর একদম ফাঁকা। এই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণ ভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ সব কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিটি নির্বাচনের বিষয় অনেকেই প্রশ্ন করছেন বিগত নির্বাচনে এই অবস্থার পরেও আপনারা নির্বাচনে গেছেন কেন? আমরা বলেছি নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই সরকারকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরাজিত করবো।
ফখরুল বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার মূল মামলা যেটা আন্তর্জাতিক আদালত হয়েছে তা গোপন করে সরকার এ মামলা করেছে। এ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে অলরেডি রায় হয়েছে। এই মামলায় বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে যাদেরকে এ মামলার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।
তিনি আরও বলেন, সরকার দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছে তারেক রহমান এসকল দুর্নীতির সাথে জড়িত অথচ আজ পর্যন্ত তারা একটিরও প্রমাণ করতে পারেনি। এবং একটি মামলায় বিচারক তাকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার কারণে ওই বিচারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ওটা তাদের সবচাইতে বড় মিথ্যা কথা। তারা টিকে আছে এই পর্যন্ত কিন্তু ওই মুক্তিযুদ্ধের সকল সে তোমাকে তারা ধ্বংস করেছে। তারা সংবিধানকে ধ্বংস করেছে এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল আয়োজন করেছে।
- ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
- রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি করেছিল বিএনপি : কাদের
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের আবদুল্লাহিল মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, মওদুদ হোসেন, আলমগীর পাভেল, মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, এমতাজ হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, প্রয়াত কবীর মুরাদের স্ত্রী বেগম মমতাজ কবীর।