ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মী ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মুলতবি সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাটি বসে পরে মুলতবি করা হয়, যা আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে রাত ৯টায় শেষ হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তাদের বিজয় আসবেই।
অতীতের অভিজ্ঞতার সূত্রে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রতি হুঁশিয়ার করে বলেন, সংসদ সদস্যরা মেয়রের চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এবার এমনটা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
এই সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন সমন্বয় করার দায়িত্ব পেয়েছেন আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। নির্বাচনী কাজে কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এই দুই নেতার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমাধানের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বলেন শেখ হাসিনা।
- ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির টিম লিডার মওদুদ-মোশাররফ
- বিচার প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে : প্রধান বিচারপতি
বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের প্রসঙ্গ উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার (খোকন) সহযোগিতা আমাদের দরকার।’ তাকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার তাগিদ দেন তিনি।
নির্বাচনের আগে যাতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানো হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ আসে বৈঠকে। তাতে নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা করেন নেতরা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, কাজী আকরাম উদ্দিন, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সুলতানা সফি, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।