ডিআইজি মিজান ও বাছিরের জামিন নামঞ্জুর

আদালত প্রতিবেদক

ডিআইজি মিজান ও বাছির
ফাইল ছবি

পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদকের পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া ও নেওয়ার মামলায় উভয়ের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

এছাড়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপর মামলায়ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

এদিকে উভয় মামলায় আজ রোববার দুদক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন একই আদালত।

এর আগে গত বছর ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে একই আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান ঘুষ প্রদানের মামলায় গত বছর ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর ওই বছর ২ জুলাই নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘুষের মামলায় অভিযোগ, আসামি ডিআইজি মিজানের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান ওই অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আসামি এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ/ উৎকোচ দেন। অবৈধ চুক্তি অনুযায়ী মিজান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়ায় তিনি ঘুষ প্রদানের বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। যদিও বাছির তা অস্বীকার করেন।

পরবর্তী সময়ে দুদকের অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ২৪ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানা ফিল্লাহ ঢাকা জেলা কার্যালয় এ মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/ ১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(৩)(৩) ধারার মামলাটি করা হয়।

এর আগে গত ১৬ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় তার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানও কারাগারে রয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে