ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক প্রধান সোলেইমানি নিহতের ঘটনায় পাল্টা যেকোনো আঘাতের শঙ্কায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াই স্থগিত করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস রোববার জানায়, এক বিবৃতিতে মার্কিন কমান্ড বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহে ইরাকি ও আমেরিকান ঘাঁটিতে একের পর এক আক্রমণের কারণে আমরা আইএসবিরোধী লড়াই আপাতত স্থগিত রেখেছি। পরবর্তীতে আইএসবিরোধী অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সামরিক জেনারেল সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয়। সোলেইমানিকে হত্যার বদলা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চরম পরিণতি’ ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। গতকাল মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের জন্যে ইরাকের পার্লামেন্টে প্রস্তাবনা পাস হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইএসকে পরাজিত করতে যে ইরাক সরকারের অংশীদার ও ইরাকি জনগণ আমাদের স্বাগত জানিয়েছে তাদের প্রতি আমরা এখনও অঙ্গীকারবদ্ধ। আইএসকে একেবারে নিমূর্ল করতে আমাদের পূর্ণ মনোযোগ ফেরাতে যে কোনো প্রস্তুত আছি।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসনের শিকার হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অভিশংসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতেই হঠাৎ সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের তৎপরতা বেড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো সময় মার্কিন নাগরিকসহ, সামরিক স্থাপনায় হামলা হতে পারে। আবার অনেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন।
- খালেদা জিয়ার কিছু হলে সব দায় সরকারের: বিএনপি
- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের আলামত মিলেছে’
ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউটের নিয়ার ইস্ট পলিসির গবেষক মাইকেল নাইটস বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।