নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগের মামলায় পরোয়ানা না থাকলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গ্রেফতার না করতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে।
কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে ইসির এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওই তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব।
মো. আলমগীর বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার আমি ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে, যারা নির্বাচনের প্রার্থী বা সমর্থক তাদের পূর্বের কোনো মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকে, তাহলে তাদের গ্রেফতার করা যাবে না। তবে নতুন কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স করলে বা কোর্টের আদেশ থাকে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা জনগণের জান বা সম্পদ রক্ষার জন্য তারা (পুলিশ) ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, সম্ভবত আমরা আগামী ২২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং করব, তখন তাদের এ বিষয়ে আরও নির্দেশনা দেয়া হবে।
ঢাকার দুই সিটিতে প্রচার শুরুর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রার্থী প্রচার করছে- এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আচরণবিধিতে যেগুলো আছে, সেগুলো করা যাবে না। কিন্তু যেগুলো বিধিমালায় উল্লেখ নেই, আমরা তো সে ক্ষেত্রে বলতে পারব না যে, এগুলো করতে পারবেন না। যদি এমন কিছু হয় যেগুলো আচরণবিধিতে নেই তখন যদি কমিশন মনে করে যে এগুলো করা ঠিক হবে না, সে ক্ষেত্রে কমিশন সার্কুলার জারি করে দিতে পারে।
ইভিএমে কারসাজির আশঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কোনো সুযোগ নেই। আমরাও মেশিনটি দেখেছি, এখানে সব ডাটাবেজ করা। কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো ভোটার ইনসার্ট করতে পারবে না। ডাটাবেজে যেই সার্ভার থাকে, সেখান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া কেউ ভোটার ডিলিটও করতে পারবে না, ইনপুটও করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটির বাইরের কাউকে নির্বাচনী এলাকার ভোটার দেখানোর সুযোগ নেই। নির্বাচনে ভোটার তালিকার যে সিডিগুলো রয়েছে তা চেক করা হয়েছে। সেখানে এডিট করার সুযোগ নেই। আর ইভিএমে কোনো ত্রুটি নেই। ইভিএমের কাস্টমাইজেশন যদি কেউ দেখতে চায়, আমরা তাদের দেখাব। কমিশন বলেছে, কেউ সন্দেহ করলে যারা প্রোগ্রামিং বোঝে তাদের আমরা ইভিএম দেখাব।
ব্যালট ইউনিটে ফিঙ্গার প্রিন্ট না থাকায় ইভিএমে ভোট অরক্ষিত কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, কন্ট্রোল ইউনিটে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার পর ব্যালট ইউনিট ওপেন হওয়ার পর গোপন কক্ষে ভোটার নিজেই উপস্থিত থাকবেন। সেখানে তার সামনে অন্য কারো ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। ব্যালটের চেয়ে ইভিএম প্রটেক্টেড, ব্যালটে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোটার কেউ গেল না, ব্যালট নিয়ে একই ভোট দিয়ে জমা দিয়ে আসল। ইভিএমে সে সুযোগ নেই।
- নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প
- ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ : ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধার
সিটি নির্বাচনে ভোট দেয়ার গোপন কক্ষ ছাড়া সব জায়গায় সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার দেয়া হবে। সাংবাদিকরা আচরণবিধি অনুযায়ী সবকিছু করতে পারবেন। তারা গোপন কক্ষ ছাড়া কেন্দ্রে অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বাধা দেয়া যাবে না। পোলিং অফিসার, প্রার্থীদের এজেন্টসহ সবার বক্তব্যও নিতে পারবেন। পুরো ভোটই প্রচার করা যাবে। কেন্দ্রের সামনে বসে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। ভোট গণনার সময় টিভিতে দেখানো যাবে। এবার তো ব্যালট নেই, ফলে সঙ্গে সঙ্গেই গণনা হয়ে যাবে।