বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক বছর

সম্পাদকীয়

মত ও পথ

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ত্ব দেশ হওয়া সত্ত্বেও বহুকাল বহির্বিশ্বে ছিল উপেক্ষিত। বাংলাদেশের কথা উঠলেই ‘বটমলেস বাস্কেটের’ তুলনা টানা হতো। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের এই দুর্নামটি শুধু দূর করেননি, তার অর্থনীতির উন্নয়নের চাকা ঘুরিয়ে দিয়ে সমালোচক দেশগুলোরও প্রশংসা অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি শপথ নেয় বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা। আজ এর প্রথম বর্ষপূর্তি। নতুন সরকারের প্রথম বছরে রয়েছে অনেক অর্জন ও সাফল্য গাঁথা। টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর গত এক দশকের মতোই এই সরকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থেকেছে। ফলে দ্রুত অগ্রসরমাণ অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশের নাম সারা বিশ্বেই আলোচনায় ছিল। অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন প্রকল্প নেওয়া এবং চলমান প্রকল্পের অনেকগুলোর অগ্রগতিও উল্লেখযোগ্য। যদি দেশের এ উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশগুলোর মতো উচ্চ আয়ের দেশ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।দলীয় দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সাজা নিশ্চিতকরণ এবং দল ও সরকারকে পৃথকীকরণ এই সময়ের সেরা সাফল্য বলে মনে করি।

অবশ্য বছরের শেষ মুহূর্তে রাজাকারের তালিকা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় সরকারকে। বিজয় দিবসের আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এবং রণাঙ্গনের অনেক আলোচিত মুক্তিযোদ্ধার নামও চলে আসে। ফলে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক। তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম চলে আসায় পরে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং এই তালিকা স্থগিত করা হয়।

সবশেষে বলা যায়, সাফল্যের পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে বর্তমান সরকারের। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে পূর্বে ব্যর্থতাগুলো কাটিয়ে ওঠে ‘মুজিবর্ষ’ হবে দুর্নীতিমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশের বছর।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে