শিশু তুহিন হত্যায় বাবা-চাচাদের বিচার শুরু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

শিশু তুহিন
নির্মম ও পাশবিকভাবে খুন হওয়া পাঁচ বছরের শিশু তুহিন । ছবি : সংগৃহিত

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যার বিচারকার্য শুরু হয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।মঙ্গলবার নিহত তুহিনের বাবা ও তিন চাচার বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদারের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

মামলার অপর আসামি তুহিনের চাচাতো ভাই শিশু হওয়ায় তার বিচারকার্য শিশু আদালতে হবে।

universel cardiac hospital

তুহিন হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন – তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই।

মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বাদী পক্ষে ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শামসুন্নাহার বেগম শাহানা।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই পাষবিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। যেখানে তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা পাওয়া যায়। তার পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি।

তুহিনের ঝুলন্ত দেহের সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। শোকের ছায়া নেমে আসে দেশজুড়ে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে।

এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম প্রথমে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু সন্দেহবশত ও আলামত দেখে এবং প্রতিবেশীদের বক্তব্য শুনে তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই পরিকল্পিতভাবে ভাই ও ভাইপোকে নিয়ে রাতে শিশু তুহিনকে হত্যা করেন তারা। পুলিশের তদন্তে এই পাঁচজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণও পাওয়া যায়।

এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর শিশু তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে