প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু অকাল মৃত্যু সবাইকে কষ্ট দেয়। একে একে আমাদের কাছের মানুষরা চলে যাচ্ছেন। যারা চলে যাচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই দেশের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের প্রথম দিনে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন- বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সরকারি দলের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, আবুল কালাম আহসানুল হক চৌধুরী ও খালেদা খানম।
শোক প্রস্তাব উত্থাপনের পর মরহুমদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর চলতি সংসদের সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের অধিবেশন এক ঘণ্টার জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডা. ইউনুস আলী অত্যন্ত অমায়িক মানুষ ছিলেন। তিনি হেঁটে হেঁটে এলাকাসহ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতেন। অসহায় মানুষদের নিজের টাকায় ওষুধ কিনে দিতেন। এমন একজন মানবতাপ্রেমী মানুষ এভাবে অকালে চলে যাবেন, তা কল্পনাও করতে পারিনি। আর দু’বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি অত্যন্ত ভালো একজন বক্তা ছিলেন। ভবিষ্যতে তার একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আমার মামলার কাজের সঙ্গে সে জড়িত ছিল। অত্যন্ত মেধাবী ছিল বাপ্পি। তার এ অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া খুবই কঠিন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফজলে হাসান আবেদের স্ত্রী আমাদের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমি তাকে ইউনিভার্সিটি ও একটি ব্যাংক করতে অনুরোধ করেছিলাম। পরে তাকে ব্যাংক দিয়েছিলাম। তার কাজের ফলে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সদ্য প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদিনের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।