পথচারীদের কোলাহলে ব্যস্ত থাকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তা। ব্যস্ত এই এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ্যে দুই কলেজছাত্রীকে মারধর করেছে এক বখাটে।
মারধরের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সবার নজরে এলেও প্রতিবাদ করেনি কেউ। এ সময় দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে টহল পুলিশ। একই সঙ্গে বখাটেকে আটক করা হয়। পরে বাবার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিল দুই কলেজছাত্রী। এ সময় তাদের পেছনে পেছনে যায় বখাটে যুবক। এরই মধ্যে মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর সড়ক পার হয় দুই ছাত্রী। দুই ছাত্রীর পেছন থেকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে বখাটে। তার সঙ্গে এসে যোগ দেয় আরও এক বখাটে। চড়-থাপ্পড়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে দুই ছাত্রী। বিষয়টি দেখে এক পথচারী থামাতে গেলেও বখাটের চড়-থাপ্পড় চলতেই থাকে।
এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ছাত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টহল পুলিশ। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত বখাটেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
অভিযুক্ত বখাটের বাবা জানিয়েছেন, ওই দুই ছাত্রী এবং তার ছেলে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর বিস্তারিত শুনেছেন তিনি। ছেলের এমন ঘটনায় লজ্জিত বখাটের বাবা।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান বলেন, প্রকাশ্যে দুই ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়। পুলিশি হেফাজতে নিজের দোষ স্বীকার করে অনুতপ্ত ওই যুবক। কেউ কোনো অভিযোগ না করায় তাকে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর বারের আইনজীবী আসাদুল্লাহ বাদল বলেন, অভিযুক্ত যুবককে আটকের পর স্বজনদের অনুরোধে ছেড়ে দিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। এতে এমন ধরনের অপরাধ প্রবণতা সমাজে বৃদ্ধি পাবে। অভিভাবকরা নিরাপত্তার অভাবে ওই ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। সেই সঙ্গে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। এসব ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সচেতন ভূমিকা পালন করা উচিত।