কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ পালায়। শীত ঋতুর দুই মাসের প্রথম মাস পৌষ ফুরিয়ে দোরগোড়ায় মাঘ। আর এই মাসটিতেই দেশজুড়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
পৌষে বয়ে যায় তিন দফা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর মাঘের প্রথম দিকে অর্থাৎ চলতি জানুয়ারির মধ্যপর্বে বয়ে যেতে পারে বড় শৈত্যপ্রবাহ। তার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বাড়াতে পারে ঠান্ডার মাত্রা। এমনই বার্তা দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শীতের প্রকোপ শুরু হয়। তাপমাত্রা নামতে নামতে দেশের কোথাও কোথাও তা এসে ঠেকে ছয়য়ের ঘরে। মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় উত্তরের অনেক জনপদেই স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। রাজধানী ঢাকার মানুষও বাদ যায়নি ঠান্ডার প্রকোপ থেকে। প্রচণ্ড শীত ও শৈত্যপ্রবাহে ভোগান্তি নেমে আসে। তাছাড়া ঠান্ডাজনিত অসুখবিসুখও বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল থেকেই দ্বিতীয় দফায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। আবার ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না বইলেও উত্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি দেশের বেশকিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। এই দুই বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন এক অঙ্কে নেমে এসেছে।
আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য মতে, চলতি মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখ পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। মাসের মাঝামাঝি সময়ে শীত কমে এলে জানুয়ারির ১৯ ও ২০ তারিখের দিকে আবারও শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। শেষ বড় ধরনের সপ্তাহের শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি, দেশের বেশকিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সূর্য ডোবার পরে সারা দেশেই রাতে শীতের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা মত ও পথকে বলেন, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ শীত জেঁকে বসার সম্ভাবনা আছে। চলতি সপ্তাহের শীত ১৫ তারিখ পর্যন্ত থাকবে, এর পর আবার শীত কমে আসবে। এই মাসে শীত কমবে বাড়বে, কখনো স্থির থাকবে না।
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না : প্রধানমন্ত্রী
- অস্ত্র প্রতিযোগিতা : মানুষের ভবিষ্যৎ ও বার্ট্রান্ড রাসেল
তিনি বলেন, এ সময় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মতো সারা দেশে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি ও তীব্র শীতে চলতি মাসে দুই দফা ভোগাবে সাধারণ মানুষকে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ভোগাবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে।
উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এই হিসাবে শুধু রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।