বঙ্গবন্ধু বিপিএল : বিদায়বেলায় জয়ের হাসি রংপুরের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জয়ের হাসি রংপুরের

রংপুর রেঞ্জার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের ম্যাচেই। ঢাকা প্লাটুনেরও আগেই নিশ্চিত হয়েছে শেষ চার। বিদায়বেলায় এসে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে থাকা ঢাকাকে বড় একটা ঝাঁকুনিই দিয়ে গেল রংপুর। মিরপুরে ১৪৯ রানের পুঁজি নিয়ে মাশরাফি-তামিমদের ১১ রানে হারিয়ে দিয়েছে শেন ওয়াটসনের দল।

এতে করে ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এবারের বিপিএল শেষ করেছে রংপুর রেঞ্জার্স। ছয় নম্বরে আছে দলটি। ১১ ম্যাচে আগের ৭ জয় নিয়ে ঢাকা দুই নম্বরেই আছে।

universel cardiac hospital

১৫০ রানের লক্ষ্য। শুরুতে এনামুল হক বিজয় রানআউট হলেও খুব একটা বিপদে ছিল না ঢাকা প্লাটুন। ১১.৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে তাদের বোর্ডে ছিল ৭৯ রান। তবে ৩৩ বলে ৩৪ রান করে তামিম ফেরার পরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৮ রানে থামে ঢাকা।

তামিম আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন মেহেদী হাসান। পরের ব্যাটসম্যানরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। মুমিনুল হক ১৮, থিসারা পেরেরা ৮, আসিফ আলি ১, আরিফুল হক ১ আর ফাহিম আশরাফও ফেরেন ৩ রান করে। মাশরাফি শেষ পর্যন্ত একটি করে চার ছক্কায় ১৩ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।

রংপুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন জুনায়েদ খান, তাসকিন আহমেদ আর আরাফাত সানি। একটি করে উইকেট শিকার মোস্তাফিজুর রহমান আর লুইস গ্রেগরির।

এর আগে রংপুর ৯ উইকেটে করে ১৪৯ রান। ঢাকার আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি দলটি। প্রথম স্পেলে টানা ৪ ওভার করে মোট ৮ ওভার বোলিং করে ফেলেন মাশরাফি ও অফস্পিনার মেহেদি হাসান। দুজনের এই ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৬ রান করতে পারে রংপুর।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে (৮ বলে ১০) উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি। মেহেদি আউট করেন তিন নম্বরে নামা ক্যামেরন ডেলপোর্টকে (৮ বলে ৬)। অপর ওপেনার নাইম শেখ (২১ বলে ১৭) ফেরেন শাদাব খানের করা নবম ওভারে।

টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় তখন কঠিন চাপে রংপুর। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫২ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন লুইস গ্রেগরি ও আলআমিন জুনিয়র। দুজনের জুটিতে মাত্র ২৬ বলে ৪৯ রান যোগ করে রংপুর।

আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা গ্রেগরি আউট হন ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে। এরপর দলকে দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেন দুই দেশি ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম ও আলআমিন। পাঁচ নম্বরে নেমে আলআমিন করেন ২৪ বলে ৩৫ রান আর শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে জহুরুলের ব্যাট থেকে আসে সমান বলে ২৮ রান।

শেষ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জহুরুল ও তাসকিনকে সরাসরি বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। কিন্তু শেষ বলে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমানকে আউট করতে। তবে সে বলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মোস্তাফিজ।

ঢাকার পক্ষে থিসারা পেরেরা একাই নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া শাদাব খানের ঝুলিতে যায় ২টি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রেঞ্জার্স: ১৪৯/৯ (২০)

গ্রেগরি ৪৬, আল-আমিন ৩৫

পেরেরা ৩/২২, মাশরাফি ১/১৭

ঢাকা প্লাটুন: ১৩৮/৯(২০)

তামিম ৩৪, মেহেদী ২০

তাসকিন ২/২৫, জুনায়েদ ২/২২

ফলাফল: ১১ রানে জয়ী রংপুর রেঞ্জার্স

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে