না ফেরার দেশে চলে গেলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাঈদ। শনিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থা। ওমানের এই সুলতান ছিলেন আরব বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক। তিনি ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুলতান কাবুস ১৯৭০ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওমানের ক্ষমতায় আসেন। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওমান শাসন করেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে ওমানে।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থাটি সুলতান কাবুসের মৃত্যুর খবর জানিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ওমান সালতানাতের রাজ দরবার থেকে জানানো যাচ্ছে যে, সুলতান কাবুস বিন সাইদ আর নেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্লাহ তাকে নিজের কাছে তুলে নিয়ে গেছেন।’
ওই বার্তায় সুলতান কাবুসের শাসনকাল এবং তার প্রজ্ঞার কথাও তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। সুলতানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আগামী তিনদিন তার মরদেহ রাজ দরবারে রাখা হবে। এছাড়া ৪০ দিন অর্ধনমিত রাখা হবে দেশটির জাতীয় পতাকা।
কয়েক বছর ধরে তিনি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা নিয়ে দেশটির ৪৫ লাখ জনগোষ্ঠীর মনে নানা প্রশ্নের তৈরি করেছে। জার্মানি ও বেলজিয়ামে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি রাজধানী মাসকাটে ফেরার পরই তার মৃত্যু হলো।
- ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করার দায় স্বীকার ইরানের
- বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও ভাষা সৈনিক আহমেদ আলীর ইন্তেকাল
সন্তান কিংবা ভাই না থাকায় ২০১১ সালে নিজের উত্তরাধিকার ঘোষণার জন্য দেশের উত্তরাধিকার প্রক্রিয়া সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও কাকে নিজের উত্তরাধিকার মনোনীত করেছেন তা কখনো প্রকাশ করেননি। তাই তার মৃত্যুর পর ওমানের সুলতানের দায়িত্বভার কে পাবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।