এবার ঢাকার ধামরাইয়ে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ভেতর একটি সিরামিক্স কারখানার এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাসটির চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে অভিযুক্ত বাসচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে ওই শ্রমিকের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক সোহেলের (৩০) বাড়ি ফরিদপুরে। তিনি ধামরাই উপজেলার জেঠাইল গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে থেকে বাসচালকের কাজ করতেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের ওই মেয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ডাউটিয়া এলাকায় প্রতীক সিরামিক্স কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিন ওই কারখানায় সকাল ৬টায় কাজে যোগ দিতে হতো তাকে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একটি বাসে কারখানায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন। কিন্ত সন্ধ্যার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। কিন্তু তার সন্ধান পাননি। পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ওই পরিবার। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা রাতে কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে তাকে খুঁজতে থাকেন। সড়কের পাশে হিজলী খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি জঙ্গলে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
ধামরাই থানাধীন কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) রাসেল মোল্লা জানান, খবর পেয়ে রাতেই কাওয়ালীপাড়া-বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন তারা। এ সময় লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া নিহতের পরনের কামিজ ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, থানায় জিডি হওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে রাতেই আমরা হত্যাকারীসহ বাসটিকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক বাসচালকের মুখে, হাতে ও গলায় মেয়ের নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
তবে ওই শ্রমিককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে কি না বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।