শুরুর দিকে খরা থাকলেও তা কাটিয়ে জমে উঠতে শুরু করেছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শীত উপেক্ষা করেও ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আজ রোববার ছুটে আসেন মেলা প্রাঙ্গণে। এতে মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রিও বেড়েছে বেশ। ফলে বেড়েছে বিক্রয়কর্মীদের কর্মব্যস্ততা।
এদিকে মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে নগদ ছাড়সহ বিভিন্ন পুরস্কার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে মেলা থেকে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহেরও শেষ নেই। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় দেশীয় বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি দেখা গেছে।
দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রোববার গেট খুলে দেয়া হয় সকাল ১০টায়। গেট খোলার পর প্রথম এক ঘণ্টা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তেমন উপস্থিত ছিল না। দুপুর ১২টার পর মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। ৩টার দিকে চোখে পড়ার মতো ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা যায় মেলা প্রাঙ্গণ ও বিভিন্ন স্টলে। আর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেলা প্রাঙ্গণ অনেকটাই ভরে উঠে দর্শনার্থীদের পদচারণায়।
কিছু কিছু স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ও ছিল। বিশেষ করে গৃহস্থালী সামগ্রী, শিশু ও নারীদের সামগ্রীর, বিস্কুট ও ফাস্ট ফুডের খাবার দোকানগুলোতে ভিড় ও বিক্রি বেশি দেখা গেছে।
বাণিজ্য মেলার খাবার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে টেস্টি ট্রিটে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিক্রয়কর্মী মত ও পথকে বলেন, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হলেও শুরু থেকেই আমাদের ভালো বিক্রি হচ্ছে। কারণ মান অনুযায়ী আমাদের খাবারের দাম বেশি নয়।
তিনি বলেন, মেলার প্রথম কয়দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশ কম ছিল। শনিবার ভালো দর্শনার্থী হয়। আজও গতকালের মতো ভালো দর্শনার্থী হয়েছে। মনে হচ্ছে এখন প্রতিদিনই ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা ভালো হবে।
যেকোনো পণ্য ১৫০ টাকায় বিক্রি করা একটি স্টলে বিক্রয়কর্মী জামাল বলেন, মেলার প্রথম ১০ দিন ক্রেতা-দর্শনার্থী তেমন ছিল না। অধিকাংশ সময় আমরা অলস কাটিয়েছি। তবে গতকাল থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে আমাদের বিক্রিও ভালো হয়েছে। গতকালের মতো আজও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
নারী সামগ্রীর পসড়া সাজিয়ে বসা শফিকুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আজ বিক্রি ভালো। গতকালও ভালো বিক্রি করেছি। আশা করছি এখন থেকে শুক্রবার ও শনিবার ছাড়াও অন্য দিনগুলোতে ভালো বিক্রি হবে।
এদিকে মেলা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনে নগদ ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা। এমন ছাড় পাওয়ায় ক্রেতারাও বেশ খুশি। উইনারের প্যাভিলিয়ন থেকে পণ্য কিনে ৩০ শতাংশ ছাড় পাওয়া রুমানা বলেন, মেয়ের জন্য একটি ড্রেস কিনেছি ৩০ শতাংশ মূল্য ছাড় দিয়েছে। ড্রেসটা মেয়ের খুব পছন্দ হয়েছে। পছন্দের ড্রেস পেয়ে মেয়ে যেমন খুশি, মূল্য ছাড় পেয়ে আমিও খুশি।
- নিঃশব্দে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপর নাম ইভিএম : রিজভী
- ইসলাম ধর্মগ্রহণ করলেন কানাডার জনপ্রিয় মডেল ও পর্যটক
মেলা থেকে গৃহস্থালীর সামগ্রী কেনা মিরপুরের বাসিন্দা জরিনা বেগম বলেন, একটি কিনে ১০টি পণ্য ফ্রি পেয়েছি। যেকোনো জিনিস ফ্রি পাওয়া অবশ্যই আনন্দের। এখন পণ্যগুলো ভালো হলেই মূল আনন্দ পাব।
মেলার প্যাভিলিয়ন থেকে ক্রেতারা পণ্য কিনে ছাড় পেয়ে যেমন আনন্দ পাচ্ছেন, তেমনি বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রও দর্শনার্থীদের আনন্দ দিচ্ছে। মালিবাগ থেকে ঘুরতে আসা কায়েস বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। ছেলে-মেয়ে দুজনই ম্যাজিক বোট ও ট্রেনে চড়ে খুব মজা করছে। ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেই আমি খুশি। এখন ওদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে বাসায় ফিরব।