দুর্যোগের ঘনঘটা ব্রিটিশ রাজপরিবারে। রাজকুমার হ্যারি ও স্ত্রী মেগান রাজ পরিবারের বাইরে চলে যেতে চান। এরই মধ্যে তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। তারা রাজ পরিবারের বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো করে চলতে চান। এই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চান ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রাজবাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জরুরি তলব করেছেন রানি। কর্মকর্তারা এখন নীল-নকশা বানাতে ব্যস্ত। নকশা মূলত বিপুল সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ নিয়ে। ব্রিটেনের প্রয়াত যুবরানি ডায়ানার ছোট ছেলে রাজকুমার হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের বিষয়টি নাকি তিন দিনের মধ্যে সারতে চান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠের বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি টেলিগ্রাফ।
গত বুধবার হঠাৎই রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যের খেতাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানান ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স। রাজপরিবারের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো আয় করার কথা জানান তারা। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হ্যারির যে সম্পত্তি রয়েছে, তা নিয়েই এখন হিসেবনিকেশ শুরু হয়েছে রাজবাড়িতে। মূলত সম্পত্তি নিয়ে কথা বলতেই হ্যারি এখনও ব্রিটেনে রয়ে গিয়েছেন বলে দাবি টেলিগ্রাফের।
নাতির এই সিদ্ধান্তে যে রানি খুশি নন, তা জানিয়েছেন রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী। তবে হ্যারি ও মেগানের ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক দাবি করেছেন, রাজপরিবারের চাপেই এই খেতাব ত্যাগ করতে বাধ্য হন হ্যারিরা।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেন, ‘হ্যারি-মেগানের এই সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক’। রানির জন্য তার কষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এরই মধ্যে ডিজনির একটি কাজে সম্প্রতি গলা দিয়েছেন মেগান। সেখান থেকে আসা অর্থ মূলত হাতিদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে খবর। তবে মেগান যে অভিনয় জগতেই আবার ফিরছেন, এই খবর থেকে তারই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।