পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেছে লাহোর হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যে প্রক্রিয়ায় মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল, সোমবার সেই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দেয়া লাহোর হাইকোর্টের নতুন রায়ের পর এখন থেকে একজন মুক্ত মানুষ বিবেচিত হবেন মোশাররফ।
১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অপসারণ ক্ষমতা গ্রহণ করেন পারভেজ মোশাররফ। পরে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে সংবিধান বাতিলের ঘটনায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ। রায়ে তাকে ধরে এনে উন্মুক্ত স্থানে ফাঁসি দিয়ে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল।
এ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় ইমরান খানের সরকারের। এদিকে লাহোর হাইকোর্টে ওই আদালত গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন মোশাররফ।
নতুন রায়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সরকারি প্রসিকিউটর ইশতিয়াক এ খান বলেন, (মোশাররফের বিরুদ্ধে) অভিযোগ দাখিল, আদালত গঠন, প্রসিকিউশন দল নির্বাচন অবৈধ ঘোষিত হবে।
তিনি বলেন, ফলে তার বিরুদ্ধে এখন কোনো দণ্ড নেই।
২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।