নতুন বছরের দুই সপ্তাহ পেরুনোর আগেই প্রথম শিরোপা জিতে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা দলটি ঘরে তুলেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপের ট্রফি।
রোববার রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে এই শিরোপা জিতেছে রিয়াল। তবে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর, গোল হয়নি অতিরিক্ত যোগ করা সময়েও। পরে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়েছে ফাইনালের।
সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ সিটি স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিলো রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার অসাধারণ নৈপুণ্যের প্রদর্শনী। তার একার প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকবার জোরালো আক্রমণের পরেও বেঁচে যায় রিয়াল। টাইব্রেকারেও দুইটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।
তবে কর্তোয়া একাই নন, দুর্দান্ত খেলেছে রিয়ালের পুরো দল। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগ। লুকা মদ্রিচ, ফ্রেড ভালভার্দে, মারিয়ানো ডিয়াজরা ঠিকঠাক ফিনিশিং দিতে না পারায় গোলের দেখা পায়নি রিয়াল।
পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা তরুণ মিডফিল্ডার ভাল্ভার্দে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে দেখেন লাল কার্ড। ম্যাচের ১১৫ মিনিটের মাথায় আলভারো মোরাতাকে পেছন থেকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। যদিও ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ওঠে তারই হাতে।
নির্ধারিত ৯০ ও পরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। দলের পক্ষে প্রথম শটেই গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। বিপরীতে অ্যাটলেটিকোর পক্ষে প্রথম শট নেয়া সাউল নিগেজকে হতাশ করে সেটি ঠেকিয়ে দেন কর্তোয়া।
পরে দ্বিতীয় শট থেকে দলকে এগিয়ে দেন রিয়াল মিডফিল্ডার রদ্রিগো আর গোল করতে ব্যর্থ হন অ্যাটলেটিকোর থমাস পার্তে। সেখানেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। পরে তৃতীয় শটে গোল করেন রিয়ালের লুকা মদ্রিচ ও অ্যাটলেটিকোর কাইরন ট্রিপিয়ার।
তবে এতে ম্যাচের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। চতুর্থ শটে জাল কাঁপিয়ে রিয়ালকে শিরোপা জিতিয়ে দেন অধিনায়ক সার্জিও রামোস। রিয়ালের এটি ১১তম স্প্যানিশ সুপার কাপ। সর্বোচ্চ ১৩ বার জিতেছে বার্সেলোনা।