ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের মেঘনায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সঙ্গে অপর একটি লঞ্চের সংঘর্ষে মা ও শিশু নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও আট যাত্রী। নিহত দুইজন কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের যাত্রী বলে জানিয়েছেন লঞ্চটির মাস্টার নুরুল ইসলাম। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের মাঝেরচর এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। চাঁদপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চটি চরে আটকে যায়।
একই সময় ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার হুলারহাটগামী ফারহান-৯ নামে একটি লঞ্চ আটকে পড়া কীর্তনখোলাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এ সময় ঘুমিয়ে থাকা মা ও তার সন্তান নিহত হন। আহত হন আরও দুই যাত্রী। ফারহান-৯ লঞ্চের ছয় যাত্রীও আহত হন।
এদিকে কীর্তনখোলা লঞ্চের ব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন বলেন, ফারহান-৯ লঞ্চে আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় কুয়াশার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ঠিক রয়েছে।