রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিম এশিয়ায় বড় ধরনের সামরিক সংঘাত হবে না। তবে, যদি এ ধরনের সংঘাত হয় তাহলে বিশ্বের জন্য একটা বিপর্যয়কর অবস্থা অপেক্ষা করবে।
রাজধানী মস্কোয় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন একথা বলেন।
পুতিন বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ শুরু হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের নিজেদের দেশ ছেড়ে শুধুমাত্র ইউরোপের দিকে পাড়ি জমাবে তাই নয় বরং অন্য অঞ্চলেও যাবে। এ অবস্থা বিবেচনা করে পুতিন এবং মার্কেল দুজনই ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা রক্ষা এবং তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ইরানের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি এ দুর্ঘটনাকে একটি ‘নাটকীয় ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া ও জার্মানি আরও আলোচনা করবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এবং মার্কেল দুজনই বলেন, সিরিয়ায় চলমান সংঘাত রাজনৈতিক উপায়ে নিরসন করতে হবে। পুতিন বলেন, সিরিয়ার পুনর্গঠনে সমস্ত প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দায়িত্বশীল সবারই অংশ নেয়া দরকার।
তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রচেষ্টা বৈধ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেই চালাতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে সিরিয়ার প্রত্যেকটি অঞ্চলে কোন পূর্ব শর্ত ছাড়াই সাহায্য-সহযোগিতা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে জার্মানি ও রাশিয়ার নেতা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর খুব কমই রাশিয়া সফরে আসেন। সেক্ষেত্রে অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের এই সফরকে আন্তর্জাতিকভাবে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নতি হচ্ছে।