পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজধানীর মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে অপসারণ করাসহ ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বায়ু দূষণ রোধে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। রিটের ধারাবাহিকতায় এসব নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন সাইদ আহমেদ রাজা।
হাইকোর্টের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা শহরের মধ্যে যেসব ট্রাক বা অন্যান্য যানবাহনে বালি বা মাটি পরিবহন করা হয়, সেগুলো (ঢাকনা) যুক্ত করতে হবে; যেসব জায়গায় নির্মাণ কাজ চলে সেসব জায়গায় ঢাকানা দিয়ে কাজ করতে হবে; এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেসব গাড়ি অতিরিক্ত কালো ধোয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে; সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
- বঙ্গবন্ধু বিপিএল : আমিরের বোলিং নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা
- পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল
যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে; পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ এবং মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি কর্পোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।