সাতক্ষীরায় সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদী থেকে নবাব আলী গাজী (৬৫) নামে বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন অফিসের নৌযান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১১টার দিকে শ্যামনগর থানা পুলিশ উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী এলাকার কোস্টগার্ড অফিসের সম্মুখস্থ পন্টুনে বেঁধে থাকা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
নবাব আলী শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশনে নৌ-যান চালকের কাজ করছিলেন।
নিহতের ছেলে কাছিকাটা টহল ফাঁড়ির নৌ-যান চালক রফিকুল ইসলাম জানান, গত রবিবার রাত আটটার দিকে নবাব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে তার কথা হয়। পরে রাত নয়টার দিকে তিনি স্টেশন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দশটার দিকে তার বাবার (নবাব আলী) মুঠোফোনে কল দিয়ে কেউ তাকে বাড়ির পাশের স্টেশনে যেতে বললে নবাব আলী বেরিয়ে যান।
রফিকুল ইসলাম আরও জানান, তার মা খোদেজা বিবিকে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যাওয়ায় বনের মধ্যে টহলে যাওয়ার কথা ভেবে সারাদিন তারা নবাব আলীর খোঁজ নেয়নি। কিন্তু বেলা দুইটার দিকে কৈখালী স্টেশন থেকে ডাকতে আসার পর তারা নবাব আলীকে খুঁজতে থাকেন।
- আরও পড়ুন >> ঘন কুয়াশা : সাত ঘণ্টা পর শাহজালালে বিমান ওঠানামা শুরু
- আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের জাহাজ ও আইটি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু জানান, রাতে কোস্টগার্ডের সিসি সাহেব ফোন দিয়ে ডাকার পর তিনি কয়েকজনকে নিয়ে পন্টুনে বেঁধে থাকা অবস্থায় উপুড় হয়ে ডুবে থাকা নবাব আলীর মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে বিষয়টি শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা।
তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর কাছে খবর পেয়ে মাদার নদী থেকে ওই ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে মরদেহ সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কৈখালী বন স্টেশন কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, নবাব আলী চুক্তিভিত্তিতে (অন পেমেন্ট) অফিসে নৌচালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কৈখালী বন অফিসে নৌচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।