নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘দুই নাম্বারি’ হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছিলেন মান্না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠান এবং ফল ঘোষণা, এটাই শেষ খেলা নয়। তারা (আওয়ামী লীগ) মনে করতে পারে এটাই ফাইনাল খেলা। ভোটে দুই নাম্বারি হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা রাজনৈতিক দলগুলোর কথায় কোনো গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক অদ্ভূত জীব। তাকে আপনি যাই বলেন, উনি শুনবেন, শোনার পর তার নিজের কথাই বলবেন। উনি যে কিছু শুনেছেন এটা মনে হবে না। যেখানে নির্বাচন কমিশনার নিজেই চোর, নিজেই ডাকাত। তার আবার ইভিএম নিয়ে এত কথাবার্তা- এটা শুনে আমাদের লাভ নেই।
এ সময় ইভিএমে ভোট গ্রহণের সমালোচনা করেন মান্না। বলেন, ‘ইভিএমে কোনো কারণে যদি কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিলে তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার সেখানে ২৫ শতাংশ ভোট নিজে দিতে পারবেন। এর চাইতে ফোরটোয়েন্টি আর কী হতে পারে?
জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে ইভিএমে ভোট নেওয়া বাতিলের উদাহরণ তুলে ধরে মান্না বলেন, জার্মানি ইভিএম আবিষ্কার করেছিল, তবে সেখানে ইভিএমে কোনো ভোট হয় না। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসও সে পদ্ধতি বাতিল করেছে। ভারতেও নির্বাচন কমিশন বিভিন্নজনের মতামত নিয়ে ইভিএমের পরিবর্ধন সংশোধন করেছে। সেখানেও ইভিএম নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে।
- ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি সংসদে
- সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৩ ঘণ্টা তালাবদ্ধ
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, দেশে ব্যবহৃত ইভিএমের ডিজাইন ঠিকমতো অনুসরণ করা হয়নি। শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা চৌধুরী সেটাতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করেননি। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটা চালু করেছি যাতে দিনের ভোট রাতে না হয়। তার মানে আগে যে রাতে ভোট হয়েছিল, সেটা তিনি স্বীকার করছেন।
দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট বাতিলের অনুরোধ করে মান্না বলেন, একটা মেশিন আমরা যেভাবেই কাজে লাগাতে চাই, সেভাবে কাজে লাগানো যায়। আমরা যদি মনে করি, ইভিএমের মধ্যে আমরা সেইরকম কমান্ড দেব, আপনি যেখানেই চাপ দেন নৌকা মার্কায় সিলটা যাবে। ভেতরের ঘটনা তো দেখতে পাচ্ছেন না। সুতরাং, এটা বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।