আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে

মত ও পথ প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
ফাইল ছবি

পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের কাজ কিছু দিনের মেধ্যই শেষ হবে। আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বছর বিভিন্ন মেলা এবং এক্সপো সেখানে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত তৈরি পোশাকশিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে আমরা যখন ব্যবসা শুরু করি তখন গামেন্টর্স খাতের সমস্ত কিছু দেশের বাইরে থেকে আসত। এমনকি কার্টন, বোতাম, সুতা কন্টেইনার ভর্তি করে আসত। এখন সব আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে। আর আজকে আমাদের বাংলাদেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে! এটা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা। আজকে গামেন্টর্স এক্সেসরিজ গামেন্টর্স শিল্পের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন গামেন্টর্স এক্সেসরিজ শিল্প ও গার্মেন্ট শিল্পকে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। আমরা আপনারা সবাই এক।

টিপু মুনশি বলেন, আমাদের যদি এক্সোসরিজ না থাকত বাইরের দেশ থেকে আনতে হতো, তাহলে কিন্তু রফতানি আরও কমে যেত। এই খাতে প্রায় ৪-৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। সবমিলিয়ে ভালো অবস্থানে আছি। এখন আমরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে শ্রীলংকা, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করছি। এ খাত থেকে সম্ভবত বিলিয়ন ডলার রফতানি হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য যেসব মেশিনারিজ দেশের বাইরে থেকে আনা হয়, সেটা যেন ডিউটি ফ্রি করা হয়-এ ধরনের দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএর নেতারা। কারণ সেটাতো দেশে থাকবে না। প্রদর্শনী শেষে আবার চলে যাবে। আমি তাদেরকে বলব, আপনারা একটি আবেদন করেন এবং আগামী বছর থেকে যেন এ ধরনের পণ্য আমদানিতে কোনোরকম ডিউটি না থাকে, আমি সেই চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প বিশাল অবদান রেখেছে। ৪৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। রফতানি পণ্যের ৮৪ শতাংশ এ খাত থেকেই আসে। এ খাতে বর্তমানে যে সংকট চলছে সেটা সাময়িক। তবে আমাদের টিকে থাকতে হবে। এই টিকে থাকতে সরকার বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, মেলার কো-অর্গানাইজার এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে, জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ভুঞ্জাসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে