প্রথম ১০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১১১ রান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফলে জিততে হলে রাজশাহী রয়্যালসকে করতে হবে ১৬৫ রান।
এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে উঠে যাবে। আর যারা হারবে তারা বিদায় নিবে। গত ১৩ জানুয়ারি প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীকে ২৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে খুলনা টাইগার্স। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আজ বুধবার মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী রয়্যালস এবং প্রথমে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে চ্যালেঞ্জার্সরা। অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন গেইল। একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেটে ৫৮ রান তোলে তারা। তৃতীয় ওভারে জিয়াউর রহমান ও ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন ইমরুল।
উইকেট পড়লেও দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিল চট্টগ্রাম। দশম ওভারে গেইলকে বোল্ড করে চট্টগ্রামকে বড় ধাক্কা দেন আফিফ হোসেন। ২৪ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ করেন গেইল।
প্রথম ১০ ওভারই ছিল চট্টগ্রামের অনুকূলে। ১১তম ওভার থেকে ম্যাচ ঘুরে যায়। এই ওভারে রিয়াদ ও সোহানকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তাতে দুর্বল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। ১৮ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রান করেন রিয়াদ। শেষদিকে আসেলা গুনারত্নের কার্যকরী ইনিংসে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৬৪/৯ (২০ ওভার)
(জিয়াউর রহমান ৬, গেইল ৬০, ইমরুল ৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ওয়ালটন ৫, সোহান ০, গুনারত্নে ৩১, এমরিত ৩, রুবেল ৮*, নাসুম ০, রানা ০*; মোহাম্মদ ইরফান ২/১৬, আবু জায়েদ ০/১৬, শোয়েব মালিক ০/১৮, কামরুল ইসলাম ০/১৬, আন্দ্রে রাসেল ১/৩৫, মোহাম্মদ নওয়াজ ২/১৩, আফিফ হোসেন ১/২০, অলক কাপালি ১/১৯)।