প্রায় দুই বছর ধরে চলতে থাকা বাণিজ্যযুদ্ধ শিথিল করতে প্রথম পর্যায়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তি মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘রূপান্তরকারী’ হবে।
চীনা নেতারা এটিকে ‘উইন-উইন’ চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি করতে সহায়তা করবে।
চুক্তিতে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক অর্ধেক করতে সম্মত হয়েছে।
ইউএস চেম্বার অব কমার্সের চীন সেন্টারের সভাপতি জেরেমি ওয়াটারম্যান বলেছেন, সামনে আরও অনেক কাজ পড়ে আছে। সারকথা হলো, তাদের আজকের দিনটি উপভোগ করা উচিত তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে টেবিলে ফিরে আসতে খুব বেশি সময় নেবেন না।
চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ২০১৮ সাল থেকে দেশটির রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাল্টা জবাব হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসায় চীনও। তবে দু’পক্ষের কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠক ও সংলাপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম পর্যায়ের হলেও এই চুক্তির আওতায় দু’পক্ষই কৃষিপণ্য, জ্বালানি, শিল্পপণ্যসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য ক্রয়ে সম্মত হয়েছে। প্রযুক্তি স্থানান্তর, মেধাস্বত্ব, কৃষি, আর্থিক সেবা, মুদ্রা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়সহ অনেক বিষয় থাকছে এ চুক্তিতে।