ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। নির্বাচন ও পূজা একইদিন হওয়ায় সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তারা যেভাবে চাইবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে কাজ করবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মধুবাগে শের-ই-বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন ও স্বরস্বতী পূজা একই দিন হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে অনেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি নিয়ে গিয়েছিল। এখন এই সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
নির্বাচন ও পূজা একদিনে হলেও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি সবাই সবার গুরুত্বটা বোঝেন। নির্বাচন কমিশন যা বলবেন আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই দিকে নজর রেখে কাজ করবে। তবে আমাদের জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক দায়িত্ববান। কাজেই কোনো কিছুতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো শঙ্কা নেই।’
নির্বাচন ও পূজা একইদিন হওয়ায় তা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে টানা কয়েকদিন ধরে ভোট পেছানোর দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ বেরিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা রাস্তায় অবস্থান করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা যখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি, তারপর দেশের স্বাক্ষরতার হার একদম কমে যায়। ২০০৮ সালে পুরনায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এখন দেশের স্বাক্ষরতার হার ৭৩ ভাগে পৌঁছেছে। অভিভাবকরা বুঝতে শিখেছে শিক্ষার বিকল্প নেই। এই ধারণা তাদের মধ্যে আসছে বলে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে। জোর গলায় বলতে পারি, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে মানুষ তার সন্তানদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করছে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থা করেছেন। সকল স্কুলগুলোতে ইমারতসহ সব ক্ষেত্রে সুন্দর ও উন্নত করা হয়েছে। এ কারণে আমরা সব স্তরে শিক্ষার সুফল পাচ্ছি।’
‘নিবার্চনে আমরা যেসব ওয়াদা করেছিলাম একের পর এক তাতে সফল হচ্ছি। এই কারণে বাংলাদেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। শুধু শিক্ষার হার না সব কিছুতে আমরা সফল থেকে সফলতর হচ্ছি। যা বলে শেষ করা যাবে না।’ সাবেক শিক্ষার্থীরা যদি তাদের স্কুলের দিকে ফিরে তাকাই তাহলে অনেক ছোট ছোট সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এতে শিক্ষার মান বাড়বে বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান টিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শের-ই-বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুস সাত্তার, প্রতিষ্ঠানটির গর্ভনিং বডির সভাপতি সুফি সুলতান আহমেদ প্রমুখ।