ভর্তি বিড়ম্বনায় পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা। মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা দিয়ে নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিলেও নির্ধারিত বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।
আল ফিক্হ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, গত ১৭ জানুয়ারি আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির বিষয়ে মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় কর্তৃপক্ষ। ওই বার্তায় ১৯ জানুয়ারি ভর্তি হতে হবে বলে জানানো হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে গেলে বিভাগ থেকে তাদের ভর্তি ফরম দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ৮০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি কলেজ এবং ৪০টি মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। ওই বিভাগে ইতোমধ্যে কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ডের নির্ধারিত ৪০টি আসন পূর্ণ হয়েছে।
ফলে ওই বিভাগ থেকে ভর্তি ফরম দেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেল থেকে কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ডের ছয় শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এ বার্তা পাঠানো হয়। আসন ফাঁকা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোয় চরম ভর্তি বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে আল ফিকহ বিভাগে কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ডের অতিরিক্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, যা ভর্তি নির্দেশনার পরিপন্থি। পরে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির নির্দেশ দেয়া হয়।
মারুফ নামে এক ভর্তিচ্ছুর অভিযোগ, আমার অনেক পরে মেধাতালিকায় অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু মেধাতালিকায় তাদের অনেক আগে থাকার পরও আমার ভর্তি অনিশ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ভর্তির জন্য আসনই না থাকে তো আমাদের ম্যাসেজ দেয়া হলো কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত টেকনিক্যাল উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ভুলের কারণে এরকম হয়েছে। আগামীকাল জরুরি সভা ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হবে।