বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফর করেছেন শি জিনপিং। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার দায়ে বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়া মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন শি জিনপিং ও মিয়ানমারে ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।
মিয়ানমারে শি জিনপিংয়ের দুই দিনের সফরে দুই দেশের মধ্যে ৩৩টি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার মিয়ানমারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বৈঠকে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। খবর মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর।
স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো মূলত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অংশ। এসব চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কয়েক শ কোটি ডলারের চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে দুই নেতা বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।
এ ছাড়া চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারত মহাসাগরের সংযোগ স্থাপনের জন্য রেললাইন নির্মাণ, মিয়ানমারের সংঘাতকবলিত রাখাইন রাজ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, সীমান্তে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে।
তবে চীনের ৩৬০ কোটি ডলারের বিতর্কিত বাঁধ প্রকল্প নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রকল্পটির কাজ ২০১১ সাল থেকে স্থগিত আছে।
শনিবার দুই নেতার বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করে এক যৌথ বিবৃতি দেয় চীন ও মিয়ানমার। একই দিনে এক অনুষ্ঠানে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে সু চি বলেন, বিনা বাক্যব্যয়ে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত প্রতিবেশী একটি দেশের পাশে দাঁড়াতে হয়।
- বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ : জাতিসংঘ
- আমার হাতে গড়া ছাত্রনেতাদের চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক : শেখ হাসিনা
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার মিয়ানমারে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট। চীনের কোনো নেতার মিয়ানমার সফরের ঘটনা গত ১৯ বছরে এটিই প্রথম। তাই এ ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ অভিহিত করেন শি জিনপিং। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সত্ত্বেও চীন মিয়ানমারের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।