বাংলাদেশ প্রায় এক দশক আগে সেই ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির সব ইভেন্টের বণ্টন শেষ। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপগুলোর ভেন্যু এখনও নির্ধারিত হয়নি।
এবার বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য পূর্ণাঙ্গভাবে একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের। আজ সোমবার ঢাকা সফররত আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মানু সোয়ানি ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ক্যাম্পবেল জেমিসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসেছেন আইসিসির এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। সফরের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে তাদের। ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে আইসিসি ছেলেদের আটটি, মেয়েদের আটটি ও আটটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে।
এই ২৪টি আইসিসির টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নির্বাচন হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী দেশগুলো আবেদন করবে। এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে আইসিসির কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশ সফর করে তাদের সক্ষমতা যাচাই করে দেখছেন। সেই উপলক্ষেই বাংলাদেশে আইসিসির দুই কর্মকর্তার সফর।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে আইসিসির ইভেন্টগুলো হতো সেটার সঙ্গে এখনকার প্রক্রিয়ায় পার্থক্য আছে। আগে যেটা হতো- ঘুরে ঘুরে, কখনো মহাদেশের ভিত্তিতে, কখনো সদস্যদেশগুলোর অগ্রাধিকার, এসব ছিল। এবার হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়, যেটা ফিফা এবং অলিম্পিকে হয়ে থাকে। দেশগুলো বিড করে। এখন থেকে ক্রিকেটেও বিভিন্ন দেশ বিড করবে, শুধু ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির প্রায় সব টুর্নামেন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে ‘তিন মোড়ল’ খ্যাত ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত আইসিসি যদি বিডিং প্রক্রিয়া চালু করে, তাহলে বাংলাদেশ যে বিশ্বকাপ আয়োজনের আবেদন করবে সেটা স্পষ্ট করে বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই বিড করবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে যে অন্য কোনো দেশ হুট করে করতে গেলে যে অবকাঠামো লাগে সেটা আমাদের প্রায় আছে। নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণে সরকারকে খুব বেশি বিনিয়োগ করতে হবে না।