জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স (বর্তমানে পদ্মা) ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ নির্দেশ দিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখার কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, মামলাটির গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল হয়ে আসায় বিচারক পরবর্তী আদেশ দেন। এ আগে মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।
গত বছরের ১০ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত ৯ ডিসেম্বর সিনহাসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছেন দুদক কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ।
এস কে সিনহা ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি।
- সুষ্ঠু নির্বাচন করার দৃঢ়তা আমাদের রয়েছে : কে এম নুরুল হুদা
- মুজিববর্ষের প্রথম উপহার ই-পাসপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- ঢাবির জহুরুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে তা স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর এবং গোপনে পাচার করেছেন।