দ্রুত এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুতে বসতে চলছে ২২তম স্প্যান (স্প্যান আইডি-১ই)। সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নং পিয়ারের উপর ২২তম স্প্যানটি বসানো হবে। এতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৩৩০০ মিটার।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে বৃহস্পতিবারই স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হবে। স্প্যানটি আগামী ২৫ জানুয়ারি স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওই দিন চাইনিজ নিউ ইয়ার থাকায় দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কারণ পদ্মা সেতুতে অনেক কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও কর্মী চীনের।
এদিকে পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে সভায় জানানো হয়, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ-৯১%, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ-১০০%, সার্ভিস এরিয়া (২)-১০০%, মূল সেতু নির্মাণকাজ ৮৫.৫০% সম্পন্ন হয়েছে এবং নদীশাসনের কাজ ৬৬% সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৫০% সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ২১টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।