চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে ২টি হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সংগঠনটির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রলীগের এক অংশ।
শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার বিকাল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রলীগের উপপক্ষ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি)এক কর্মীকে মারধর করেন আরেক উপপক্ষ ‘বিজয়ে’র কর্মীরা। এর জের ধরে বিকাল পাঁচটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে গিয়ে বিজয়ের দুই কর্মীকে মারধর এবং একজনকে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির নেতাকর্মীরা। ঘটনা জানাজানি হলে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল এবং সিএফসির নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে জড়ো হন। তাদের হাতে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও রামদা দেখা যায়। এ সময় দুই উপপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ এসে তাদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে লোহার রড ও কাচের বোতল নিয়ে যায়।
- পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান বসছে আজ
- পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখলো বাংলাদেশ দল
- ব্যালটে ভোট নিতে প্রয়োজনে নির্বাচন পেছানোর দাবি ফখরুলের
রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে সিএফসির ১২ জন ও বিজয়ের আটজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রক্টরের গাড়ি ভেঙেছে, পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে, অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া দুই হল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে বিজয়ের কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।