অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্প বিপ্লবের প্রধান নিয়ামক হবে প্রযুক্তি। এ বিপ্লবের সুযোগ নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেসব বিষয় প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় থাকবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যানো টেকনোলোজি, রোবোটিক্স, ব্লকচেইন, এনার্জি স্টোরেজ ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ বছর ও এআইএসের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। বিভাগটির পক্ষ থেকে এই প্রথম কাউকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যাধুনিক আর্থিক প্রযুক্তি ব্লকচেইন বিষয়ে অ্যাকাউন্টিং বিভাগ যদি কোনো কোর্স চালু করে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি তহবিলে নিজ উদ্যোগে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন অর্থমন্ত্রী।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে হলে তার জন্য উপযোগী জনবল কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। একটি প্রতিষ্ঠান অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তেমনিভাবে দেশে ও দেশের বাইরে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
- বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
- বিজেপি-মোদিতে বিপন্ন ভারতের গণতন্ত্র : ইকোনমিস্ট
দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেসব দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। ১০ বছর আগে আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল বিশ্বে ৫৮তম। বর্তমানে আমরা ২৯তম। অচিরেই আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানের মতো দেশকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হব। চলতি বছর যেসব দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমন ২০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সেই তালিকার অন্যতম দেশ।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশই কর্মক্ষম। বিশ্বের আর কোনো দেশ জনমিতিক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।