পুরনো ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টায় পালিত হয়ে গেল পিঠা ও বাকরখানী উৎসব। তবে, পিঠার উৎসব হলেও এবারের উৎসবের স্লোগান ছিল ‘পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কার চাই’। সামাজিক সংগঠন ‘ঢাকাবাসী’ এই উৎসবের আয়োজন করে।
আজ শুক্রবার হাজারীবাগ পার্ক সংলগ্ন ঢাকাবাসীর কার্যালয়ে সংগঠনের উদ্যোগে পিঠা ও বাকরখানী উৎসব পালিত হয়। উৎসবে চিতই, ভাপা, চৈ পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, ফুল জরি পিঠা, পাটি শাপটা, খেজুর পিঠা, ভিজা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও বিভিন্ন ধরনের বাকরখানী স্থান পায়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক-এর সৌজন্যে অনুষ্ঠানে পিঠার পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিন বাদকরা বিন বাজনা। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া বক্তারা পুরাতন ঢাকার ছোট কাটারা, বড় কাটারা, নবাব বাড়ির গেইট, ঢাকার রূপলাল হাউজ-এর সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি জানান। বিশেষ করে লালবাগ কেল্লা ও আহসান মঞ্জিলের কিছু অংশের প্রাচীর ঘেষে বিভিন্ন ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বক্তারা পুরাতন ঢাকার যে সকল স্থাপনা হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোকে সংস্কার এবং সেখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত নগর জাদুঘরটি অবহেলা, অযত্নের কারণে অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেগুলোকে দ্রুত সংস্কার এবং নগর জাদুঘরটি আধুনিকিকরণ করার দাবি জানান।
ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংগঠন ফেডারেশনের সভাপতি দুলাল বিশ্বাস।
- বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী
- বিজেপি-মোদিতে বিপন্ন ভারতের গণতন্ত্র : ইকোনমিস্ট
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাবাসীর উপদেষ্টা আজফারুজ্জামান সোহরাব। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাবাসীর মহাসচিব শেখ খোদাবকস, সহকারী মহাসচিব শাহীন পারভীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ন আহেমদ মন্টুসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।