চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। আক্রান্ত প্রায় হাজারখানেক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস জুনোটিক। অর্থাত্ এই ভাইরাস পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেও অন্য ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শ এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও করোনাভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি। অসুখ আরও বাড়লে কিডনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। করোনাভাইরাস মরণব্যধি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তাই নিজেকে সাবধান রাখাই শ্রেষ্ঠ উপায়।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়-
১. যতটা সম্ভব ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন। সময় কাটানোর জন্য ভালো কোনো সিনেমা দেখুন বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। তবে বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভালো।
২. বাইরে বের হওয়ার আগে সঙ্গে মাস্ক নিতে ভুলবেন না।
৩. বাস, ট্রেন বা এজাতীয় গণপরিবহনগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৪. বাইরে থেকে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ বা লিকুইড সোপ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
৫. বাইরে যাওয়ার আগে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে যান। সকালে ঘণ্টাখানেকের জন্য জানালা খোলা রাখুন। তাতে পর্যাপ্ত সতেজ বাতাস এবং সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করবে।
৬. সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানি খাবেন। কোনোকিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
৭. ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত সময় ধরে রান্না করতে। খেয়াল রাখবেন, এগুলো যেন অবশ্যই সেদ্ধ হয়।
৮. ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে রাখার চেষ্টা করুন, দিন বা সপ্তাহ ধরে ফেলে রাখবেন না।
৯. ঘর পরিষ্কার রাখুন। নিয়মিত আপনার থাকার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে ইথাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করুন। এটি আপনি যেকোনো ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন।
১০. সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। আপনার পরিচিত কেউ আক্রান্ত মনে হলেও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।