নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না : সুজন

মত ও পথ প্রতিবেদক

সুজন-ইসি
ফাইল ছবি

দেশের বিগত নির্বাচগুলোতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে তথ্য পেলেও আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন বিষয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার তথ্য না দেওয়ার জন্য ইসির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এর আগে সব সময় তথ্য পেয়ে এসেছি। এবার তারা তথ্য দিচ্ছে না। এটার কারণ কি, নাকি এটা তাদের অযোগ্যতা, তা আমরা বুঝতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনের মধ্যে ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থা। কেউ যেন দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেন না। যাতে সরকারি দল বা সরকার তাদের ওপর বিরাগভাজন হবে। এটা কিন্তু একটা অশনি সংকেত।

নির্বাচন কমিশ থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে কমিশনকে একাধিক চিঠি দিয়েছে সুজন। চিঠির জবাব না পেয়ে ইতিমধ্যে কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো জবাব পাচ্ছেন না জানিয়ে সুজনের সম্পাদক বলেন, কমিশন এবার তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। তাতেও কোনো জবাব না পেয়ে সর্বশেষ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি তা সত্ত্বেও তারা কোনো টু শব্দ করছে না।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকারের অংশ। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনে এ তথ্য জানা অপরিহার্য। তারপরও নির্বাচন কমিশন কোনো কর্ণপাত করছে না।

সংগঠনটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার তথ্য না দেওয়ার জন্য ইসির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান।

এ সময় সুজনের সম্পাদক দুই সিটিতে ইভিএমে ভোট না নেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়া হলে তাতে তো একটা ডকুমেন্ট থাকে। কিন্তু ইভিএমে কাকে ভোট দিয়েছেন তার কোনো ডকুমেন্ট থাকবে না। একজন ভোটার তার প্রার্থীকে ভোট দিলেন কিন্তু কাউন্ট হলো অন্য প্রার্থীর পক্ষে। এ ক্ষেত্রে অডিট করার কোনো সুযোগ নাই।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী জানিয়ে বদিউল আলম বিষয়টি রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ী বেশি দেখা যাচ্ছে। তাতে মনে হচ্ছে, রাজনীতি এখন পুরোপুরি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এতে আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ব্যবসায়ীদের করায়ত্ব হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি এখন ধনাঢ্য ও অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এটা রাজনীতির জন্য খুব ক্ষতিকর হচ্ছে।

প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার পরিবশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়েও কথা বলেন বদিউল আলম। তিনি বলেন, এরইমধ্যে উচ্চ আদালত লেমিনেটিং করা পোস্টার প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এখন আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাতো বাস্তবায়ন করতে হবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের কোনো সক্রিয়তা নেই।

সাবেক তত্ত্বধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন-সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার, সুজনের সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে