বরগুনার আমতলীতে বাসের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালী থেকে কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মায়ের দোয়া (পটুয়াখালী- জ ১১-০০১০) নামে একটি যাত্রীবাহী বাস আমতলী- পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের একে স্কুল চৌরাস্তায় পৌছলে ব্রেক ফেল করে রাস্তায় উপড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ২টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও একটি মোটর সাইকেলসহ রাস্তার পাশে দাঁড়ানো পথচারীদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলের সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী নুপুর, তার পুত্র ৪র্থ শ্রেণীর পড়ুয়া শিক্ষার্থী নিশাত, ও নুপুরের বড় বোনের মেয়ে কাঠালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া আক্তার নিহত হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে নিহত নুপুরের শিশু কন্যা মমতা (৬), ব্যাটারিচালিত অটো গাড়ীর ড্রাইভার আ. জব্বার (৪০), মাইক্রোবাসের যাত্রী রুমা (৩৪), স্কুল শিক্ষিকা নুপুর বেগম (৩২), মোটরসাইকেল চালক রুবেল মুসুল্লী (২৫) ও অপর পথচারী শাহাবুদ্দিন মৃধা (৫৬) আহত হয়েছে। নিহত ও আহতরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘটনাস্থল এসে নেমে অন্যত্র যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
নিহত নিশাতের বাবা ও তার মা নিহত নুপুরের স্বামী আবুল হোসেন টিপু সিঙ্গাপুর প্রবাসী। তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী কলাপাড়া উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামে। অপর নিহত লামিয়া আক্তার উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের জসিম মোল্লার কন্যা।
ঘাতক বাসটি স্থানীয়রা আটক করলেও ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারাম্মুন মাহজাবিন ও ডা. ফারজানা আক্তার দিনা বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই নুপুর, নিশাত ও লামিয়ার মৃত্যু হয়েছে। আহত ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী ও বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত পথচারী শাহাবুদ্দিন মৃধা বলেন, আমি উপজেলার গাজীপুর থেকে মাহেন্দ্রা গাড়ীতে এসে একে স্কুল চৌরাস্তা রাস্তার পাশে দাঁড়াই।। এ সময় একটি দ্রুতগামী বাস আমাদের দাড়ানো পথযাত্রীদের চাপা দেয়। এতে শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আমতলী সার্কেলের এএসপি সৈয়দ রবিউল ইসলাম, আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার পরিদর্শন করেন।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক বাসটি আটক করি। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত তিন জনের সুরতহাল করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।